Recent Posts

অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক সেবন করা মোটেও উচিত নয়

এন্টিবায়োটিক (Antibiotic) বা জীবাণু নাশক দিন দিন এর কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলছে। পঞ্চাশের দশকে পেনিসিলিন (Penicilin) যতটা জীবাণু ধ্বংসে কার্যকর ছিল এখন আর এন্টিবায়োটিক তেমন কার্যকর হচ্ছে না। ফলে বাজারে আসছে নিত্য নৈমিত্তিক জীবাণু নাশক। এতেও কাজ হচ্ছে না অনেক ক্ষেত্রে। রেজিস্ট্যান্স (Resistance) হয়ে পড়ছে অনেক নামি-দামি এন্টিবায়োটিক। কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞগণ যখন-তখন এন্টিবায়োটিক সেবন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের কোর্স (Antibiotic Course) কমপ্লিট না করাকে দায়ী করছেন।


antibiotics


অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক সেবন করা মোটেও উচিত নয়


ইতি মধ্যেই গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে- গলার ইনফেকশন থেকে যৌনরোগ গনোরিয়ার জীবাণু ধ্বংসে সাধারণ এন্টিবায়োটিক আর আগের মতো কাজ করছে না। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে এন্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ও যথেচ্ছ ব্যবহারে। যেমন- ভাইরাসের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। তারপরও সর্দি-কাশি, জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী ফার্মেসী থেকে কিনছেন। বড় জোর ২/৩ দিন সেবন করেই ওষুধ সেবন ছেড়ে দিচ্ছেন।



এমনকি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যেখানে এন্টিবায়োটিক দরকার সেখানেও এন্টিবায়োটিকের কোর্স শেষ করা হচ্ছে না। তাই অনেক এন্টিবায়োটিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। তাই অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত নয়। যদি এন্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজন হয় তাহলে কোনো চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত। এছাড়া প্রয়োজনে হোক আর অপ্রয়োজনেই হোক- কম পক্ষে ৫ থেকে ৭ দিন এন্টিবায়োটিক সেবন করা বা ব্যবহার করা উচিত।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন